অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বর্তমানে দেশে চিকিৎসকের সংখ্যার তুলনায় মানসম্মত চিকিৎসা বেশি জরুরি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, আমি মেডিকেল কলেজ বাড়ানোর পক্ষে না। যে মেডিকেল কলেজগুলো আছে সেগুলোর মান বৃদ্ধি করতে হবে যাতে আমরা মানসম্মত ডাক্তার তৈরী করতে পারি।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে রায়েরবাজারে শিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজে আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখনই দরকার মানসম্মত চিকিৎসক। এজন্য আমরা শিক্ষা গবেষণায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিব। বিশেষ করে মেডিকেল কলেজগুলোতে প্রথম বর্ষ থেকে পঞ্চম বর্ষ পর্যন্ত শিক্ষাজীবনে সবকিছু যাতে সুন্দর থাকে এবং শিক্ষার্থীরা যাতে মানসম্মত শিক্ষাটা পায়, সেটিও আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখব।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, মেডিকেল কলেজটা ঘুরেফিরে পরিদর্শন করলাম। কিছু কিছু ব্যাপারে আরো সতর্কতা মেনে চলতে আমি কর্তৃপক্ষকে বলব। মেডিকেল কলেজের ছাত্রীদের বাসস্থান, অডিটোরিয়ামসহ সবকিছু ঠিক করতে আমি তাদের বলেছি। উনারা এসব কিছু ঠিক করার জন্য কিছু সময় নিয়েছেন। আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করবে।
এ ছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোগ ডায়াগনোসিসের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রসিডিউর মেনে চলতে বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন পরিদর্শনে গিয়ে সার্জারি বিভাগসহ কয়েকটি ইউনিট ঘুরে দেখেন। এ ছাড়া, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মন্ত্রী মতবিনিময় করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাত্রী হোস্টেল, অডিটোরিয়ামসহ বিভিন্ন অবকাঠামো সাত মাসের মধ্যে ঠিক করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
এর আগে সকালে হাজারীবাগে শহীদ শামসুননেছা আরজু মনি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নতকরণ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নতির কোন বিকল্প নেই।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমার খুবই কষ্ট লাগে যখন গ্রাম থেকে মায়েরা আসেন ব্রেষ্ট ক্যান্সার নিয়ে। তারা এত দেরিতে আসেন তখন তাদের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। এজন্য যথা শীঘ্র সম্ভব ব্রেষ্ট ক্যান্সার শনাক্তকরণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুরুর স্টেজে এটা শনাক্ত করা গেলে যথাযথ চিকিৎসা করা যায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত মহিলা ডাক্তারদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমারদের দেশে একটা কমন ব্যাপার হলো, যা সাধারণ মায়েরা অবহেলা করে। সেটা হচ্ছে বেষ্ট ক্যান্সার। আপনাদের কাছে যখন রোগী আসবে তখন আপনারা খেয়াল করবেন ব্রেষ্টে কোন ল্যাম্প আছে কিনা। আপনারা যদি সেরকম কোন রোগী পান তাহলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠাবেন। সেখানে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সহ ব্রেষ্ট স্ক্রিনিং এর সেরা ফ্যাসিলিটি আছে। আপনারা যদি এইরকম দশজন, পনেরজন করে রোগী পাঠান আমরা বিনামূল্যে সবরকমের টেস্ট করে তাদের চিকিৎসা করব।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং ঢাকা -১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।
Leave a Reply